বৃষ্টিধারা
আমি তো দেখেছি সে মেয়েদের
যাদের চোখ কালো আর বৃষ্টিময়।
দেখেছি সেই সব মেয়েদের যারা কাঁদে আর হাসে
যারা মাটি আর জল
নগ্নিকা মেয়ে আর বিহঙ্গ মেয়ে,
দেখেছি শব্দ মেয়েদের, নদী মেয়েদের
আর আকাশ মেয়েদের।
মেয়েদের দিকে চাইলে আমি প্রার্থনানত হই,
সেই মেয়েরা যারা নিজেদের শব্দ উচ্চারণ করে,
এই উদার আকাশের মাঝে
জলে ভরা খিকারার মতো।
সেই সব খিকারা যারা ভিজিয়ে তোলে মাটির বীজগুলিকে
আর তারা প্রস্ফুটিত হয় পবিত্রতার মাঝে।
* খিকারা আমাদের গন্ধরাজ লেবুর মতো একটা টক এবং রসালো ফল
বদ হাওয়া
ঢুকে পড়লাম বদ হাওয়ার মুখের ভিতরে,
কোমরটাকে ঝুঁকিয়ে নিজের পা দুটো ছুঁলাম।
বৃষ্টি হয়নি ততটা।
আমার বাবার মতে মেয়েরা সেই সব স্বপ্ন দেখে না,
যা ওরা তোরতিয়্যা আর কফি বানানোর সময় শেখে,
শিখে ফেলে মৌন থাকতে।
বাবা বলেন যে কোনো মেয়েই তো লেখেনা
যে আমি একটা বাচ্চা মেয়ে যে দূরত্ব, আতংক আর
একাকিত্বকে চোখের জল বানিয়ে ফেলে।
আজ ওই উপর থেকে বলছি আমার নাম
আমি একটা পাখি মেয়ে,
পুষ্পিত হওয়ার মতো একটা বীজ।
আমার শব্দই আমার ডানা
আমার মাটি বাষ্পাকুল।
ফুল বাড়ি
রোদ্দুরের জন্মলাভের সঙ্গে বাড়িটা ভরে উঠে গাঁদা ফুল
আর ওকোটের গন্ধে।
ধীরে ধীরে শ্বাস নেয় পাথরগুলো,
জেগে ওঠে ঘরবাড়ি
আর জ্বালানি কাঠ আগুনের গল্প শোনায়।
এই বাড়িটার মধ্যে কোনো মেঘ নেই,
আছে নীল, হলুদ আর লাল ফুল।
পাম গাছের পাতা বোনে মেয়েরা,
তোরতিয়্যা বানায় আর তাদের স্বামী সন্তানদের জন্য
প্রার্থনা করে।
এই বাড়িতে কাঁদে ঝিঁঝিঁপোকার দল,
সেই সব হৃদয় যারা জেগে থাকে অন্তহীন প্রতীক্ষায়
একটি সন্তান, একজন প্রেমিক আর একটি শব্দ...
আগুনের সঙ্গী একটা নাম।
এই বাড়িতে থাকে ফুলেরা
প্রতীক্ষারত ফুলেরা।
অলংকরণঃ তাইফ আদনান