মুকুট
ভারী বৃষ্টি
গাছেদের ভঙ্গুর করে ফেলে
পাহাড়ের মাথায় বিপুলাকার ওক
ভেঙে হাঁটুমুড়ে বসে পড়ে।
তুমি দিব্যি তাদের ধরতে
ছুঁতে পারো।
যদিও তোমার ওখানে
স্পর্শ করার অধিকার থাকতে পারে না-
ওগুলো পাখিদের রাজত্বি
তারা ঝাঁকে এসে বসুক।
Poem : Crown
নায়াগ্রা নদী
এক নদী ছিল বুঝি
জলের পাটাতনে আমরা
পাতলাম টেবিল ও চেয়ার
খেলাম, গল্পও করা হলো।
নদী খানিক সামনে
দুলে ওঠে।
খেয়াল করি
খাবার ঘরের ছবিগুলো
উল্টেপাল্টে যাচ্ছে
নদীপাড় বদলে কেমন
অচেনা হয়ে ওঠে।
আমরা জানি-
এই হচ্ছি আমরা
আর এটা নায়াগ্রা নদী।
এমন সহজ কথাটা
মনে রাখা খুবই মুশকিল-
সাকল্যে এই কথাটার মানে কী!
poem :The Niagara river
তকমা
পাখি সমুখে নিচে
হেঁটে নামে সাগর কিনার
ঝিকমিকিয়ে উর্মিমালা ছোটে
জলরাশি আছড়ে
পড়ে কূল।
পদভারে আঁকে পাখি
বিহার ও সম্ভ্রমের জিত
ফলকাটা বালুকাময়
জ্যোতি গাঁথে পাখি
বাদশার ভিত।
সে চলা জমিদারি গুণ
দর্পপূর্ণ।
সৈকতে হেলেদুলে
বিহঙ্গ বিহারে
ছায়া পড়ে পদযুগলে সুচূর্ণ।
জাগরী ঢেউ জড়ায় এসে
পাখিপতির পায়
তটে এসে কুর্নিশে লোটায়।
poem : Chop
ক্ষীণকায়
যা দিয়ে কোনকিছু
চেনা যায়
তা ভীষণ পলকা
পুকুরের জলের উপর
ভাসে ক্ষীণকায়
বরফের চিলতা
তার উপর দিব্যি
পাখি হেঁটে যায়।
পাখির তুলাদণ্ড ভার
অথবা এক পাখির ওজন
ওয়ার্ডসওয়ার্থ।
poem :Thin
এখানে ওখানে যায় না সত্তা
এক জায়গা থেকে অন্যত্র
সরানো যায় না নিজেকে।
না যায় ব্যাগে পোরা।
যেখানে নিঙড়ানো হয়েছিল
ওখানেই আসে আবার
চোখে ধূলা ছিটিয়ে।
একাকী আলাদা
কোন অর্থ নেই তার
এ ভুঁইফোড় সামূহিক
না আছে পত্তনি, ব্যক্তি ফলক
বাড়িতে নিজের অনুপাত
সত্তরে একভাগ।
poem : The self is not portable
শীতের ত্রাহি
এ-কী শীতকাল
না বিষাদের ঘোলা
বছরের ওই ভাগটুকু
যা স্যাঁতসেঁতে মলিন!
বসন্ত শত উদ্যোগেও
যা-কে আর টসটসে
করে তুলতে পারে না।
সবকিছু এক মোচড়ে
জেগে ওঠে
চোখ থেকে তবু সরে না
দিগন্তের শত ছিন্নদশা।
যতোই আকাশ হয়ে উঠুক নীল
মেঘের সমীকরণ হয়রান
জরা অনুকূল।
poem : Winter fear
অলংকরণঃ আশিকুর রহমান প্লাবন