দিবারাত্রির কাব্য পত্রিকার শুরুর প্রস্তুতিপর্বে যখন তন্ন তন্ন করে দুই বাংলার কথাসাহিত্যের পাঠ নিচ্ছি তখন নজরে আসে হাসান আজিজুল হকের গল্প। বাংলাদেশের এক অনামি প্রকাশনার নিউজ প্রিন্টে ছাপা বই কলেজ স্ট্রিট থেকে কিনে পড়ে ফেললাম 'শকুন', 'আত্মজা ও একটি করবী গাছ', 'ভূষণের একদিন', 'খনন' ইত্যাদি গল্প।
লেখকদেরকে বিশেষভাবে চিনিয়ে দেওয়ার জন্য ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে শুরু হল দিবারাত্রির কাব্য পুরস্কার। দু-বছরে পুরস্কৃত হলেন বর্ষীয়ান সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক, সাধন চট্টোপাধ্যায় ও তরুণ লেখক স্বপন সেন, সোহরাব হোসেন। ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে কাটোয়া মহকুমা গ্রন্থগার ও দিবারাত্রির কাব্য পত্রিকা যৌথভাবে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে এল সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হককে। হাসান আজিজুল হক উদ্বোধন করবেন মহকুমা গ্রন্থাগারের নব নির্মিত দ্বিতল এবং তাঁকে দিবারাত্রির কাব্য পুরস্কারে সম্মানিত করা হবে।
মনে আছে, কাটোয়ার অনুষ্ঠানের পরের দিন তাঁর জন্মগ্রাম যবগ্রাম ঘুরিয়ে বাসে করে বর্ধমান হয়ে ট্রেনে করে তাঁকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিলাম। তাঁকে রাখা হয়েছিল গল্পকার শরদিন্দু সাহার ঢাকুরিয়ার ফ্ল্যাটে। মাঝে তিনি ঘুরে গিয়েছিলেন আমাদের সোনারপুর থানার জাড়দহ গ্রামে, আমাদের বাড়িতে। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি সভাঘরে তাঁর হাতে দিবারাত্রির কাব্য পুরস্কার তুলে দিয়েছিলেন কবি শঙ্খ ঘোষ এবং তাঁর গল্পের মূল্যায়ন করেছিলেন সাহিত্যিক দেবেশ রায়।
ঘুমিয়ে পড়া অ্যালবাম থেকে তুলে এনে দু-যুগ আগের কিছু আলোকচিত্র দেখতে দিলাম সাহিত্য সহযাত্রী ও পাঠক বন্ধুদের। অনুষ্ঠানের ছবিতে শঙ্খ ঘোষ, দেবেশ রায়ের সঙ্গে রয়েছেন সাধন চট্টোপাধ্যায় ও শুভঙ্কর ঘোষ। আমার বাড়ির বাগানের ছবিতে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে রয়েছি আমি, আমার আত্মজ ফয়সল অরফিয়াস, শরদিন্দু সাহা, তাপস সরকার ও সুশীল সাহা।
অলংকরণঃ আশিকুর রহমান প্লাবন