সুগন্ধার ঢেউ তুললে বুকে উষ্ণজ্বর
উপকথা খুলে দেখি, সেখানেও রানীর মতো রাঙানো
মেহেদি পাতার রঙে জাপটাচ্ছে নদী;
কাঠ বাদামের শাস ভেঙ্গে পড়ে ঝলমলে সুখ,
অরণ্যের শান্ত ছায়ার মতোন--
আদর গায়ে পরেছ সুইমিংয়ের পোষাক,
প্রসাধনি রোদ নেমে এসে দামী মদের গেলাসে
সুগন্ধার ঢেউ তুললে বুকে উষ্ণজ্বর!
ওড়ে শালিকের ঝাঁক,
বেদেনী পাখির মতো রূপসীরা নাচে
সূর্যমুখি ক্ষেতের দুপায়ে ঘুঙুর দ্যুতিময়...
পাতাবাহারের মতো অভিসারে টলোমলো সরোবর।
দূরে যাওয়া পথের বাঁক...
পানপাত্র হাতে তুলে বলেছিলে,
এই নাও, দ্রাক্ষায় মাতাল আঙ্গুর ক্ষেত;
অন্ধকার একরাত্রি ক্ষার,
পথের পাশের ধুলো ভেবে ভুলে যেতে হবে;
পায়ের কাছেই খুঁজে পাবে
নিবিড় আঁধার।
তোমার কিছু আলগা দাঁত হাসির অপেক্ষা ছাড়া
কিছুই বোঝে না আরÑ
পালে যদি লাগে হাওয়ায় অবাক!
তবুও ধুলোর মধ্যে দেখি দূরে যাওয়া
পথের বাঁক...
বলে দাও তবে,
মৃত্যুর গোপন কষ্ট! মদীরতা নিয়ে আসবে কবে আবার?
সুগার জমানো ভয়...
নাভিমূলে ক্ষত রেখেছিলে,
দেয়ালে খোদাই করা এঞ্জেল ইভের বিশ্বাস ঘাতকতা
চ্যাপেলের চূড়োয় দাঁড়িয়ে থাকেন ঈশ্বর;
কখন সে, আপেলের স্বাদে ও বিস্বাদে
ঝুলেছিল ক্রুশের চিৎকার,
আলোর মুখোশে--
কে জানে, কোথায় রচিত হচ্ছে সেই রাশিফল,
এদোনের লজ্জাবতী ফুল;
দীর্ঘ অন্ধকারের ডিভানে অসুখ খুলে দেখা;
ব্যান্ডেজের নিচে ট্যাটো আঁকা
নার্সের হৃদয়,
সেখানেও সিরিন্স রক্তের গন্ধ শুষে নেয়;
ডেটলে ফেনিয়ে ওঠা...
লোনাজল সমুদ্রের পার ভেঙে ঢুকে পরছে মহিষ বালুচরে
সুগারের ভয়...।
অলংকরণঃ তাইফ আদনান