জলধি
/ কবিতা
/ হালিম আবদুল্লাহর তিনটি কবিতা
হালিম আবদুল্লাহর তিনটি কবিতা
রিসালাত
জামের বোলের গন্ধ ভরা দেহখান লয়ে
ফজরের আগে যে আসে গোপনে বিছানায়
রিসালাত আসে তার কামনার রূপ হয়ে
নত হই পায়ে তাই সমর্পিত সেজদায়।
সুচিক্কন এই চতুরা রমণী মহাভাবী
লতার মতোন বেঁধে রাখে আমার শরীর
তাহাজ্জুদ কাজা করা আমি পথভ্রষ্ট নবি
নাজাতের লাগি করি তার দেহের জিকির।
পরকীয়া
তোমার শরীরে পরপুরুষের ঘ্রাণ
আমার শরীরে ভিন্ন নারীর স্বাদ
এই নিয়ে চলে বেপাড়ায় কলতান
আমরা দুজন করি না বিসম্বাদ।
আমাদের প্রেম দেহ সাপেক্ষ নয়
কোরানের মতো নিগূঢ় অর্থবহ
দেহাতীত কাম রেখেছি সত্তাময়
আকুল পিপাসা জাগরুক অহরহ।
আমরা শিখেছি জল ও হাঁসের রীতি
শত সাঁতারেও ভিজি না একটিবার
বাউলের মতো সুপ্ত পতন ভীতি
বুকের ভিতর জমা রাখি প্রতিবার।
তোমার জীবন তোমার বৃত্তে আঁকা
আমার জীবন আমিই বইছি বোঝা
খেয়ে পরে মানি যাপনের সীমারেখা
তবু আমাদের অনন্তকাল রোজা।
প্রসবকাল
প্রসব যন্ত্রণায় দম ফেটে যাচ্ছে
একজন দাই চাই
তুমি ছাড়া এমন দাই আর কে আছে সুলতানা!
দশ মাস দশ দিন আগে
নিজের সঙ্গে নিজের সঙ্গম শেষে নিজেকে গর্ভে ধারন করেছি
এখন এই নিঃসঙ্গ প্রসবকালে ভীষণ ভয় পাচ্ছি
আত্মহত্যার মতো নিকৃষ্ট পাপ জগতে আর কী আছে!
হাত রাখো বেদনার্ত শরীরে
মুখে গুঁজে দাও সুগন্ধি আঁচল
তোমার সকল শাস্ত্র প্রয়োগ করো নির্বিঘ্ন কৌশলে
নিজেকে নিখুঁত প্রসব করতে চাই সুলতানা।
একজন দাই চাই
তুমি ছাড়া এমন দাই আর কে আছে সুলতানা!
দশ মাস দশ দিন আগে
নিজের সঙ্গে নিজের সঙ্গম শেষে নিজেকে গর্ভে ধারন করেছি
এখন এই নিঃসঙ্গ প্রসবকালে ভীষণ ভয় পাচ্ছি
আত্মহত্যার মতো নিকৃষ্ট পাপ জগতে আর কী আছে!
হাত রাখো বেদনার্ত শরীরে
মুখে গুঁজে দাও সুগন্ধি আঁচল
তোমার সকল শাস্ত্র প্রয়োগ করো নির্বিঘ্ন কৌশলে
নিজেকে নিখুঁত প্রসব করতে চাই সুলতানা।
অলংকরণঃ আশিকুর রহমান প্লাবন