সন্ধ্যাকালীন জোনাকির ফিসফিস
ঝরা পাতার দুপুরে এমন নির্জনতা আসে, সান্ধ্যনগরী তর্জমায়
আমি কার কাছে যাব? সমুদ্রপীড়িত অন্ধ নাবিকের চোখ
কার কাছে দুহাত পাতি, উপশমে?
কাকে বলি, বোবা আলো ফুরোনোর আগে আমাকে খুন করে রেখে যাও...
ঝলমলে সূর্যের রাত্রি। গহীন অরণ্যে দাঁড়িয়ে যেন
খানিকটা ঝুঁকে মুখ দেখছে নরম জলে। বাতাসে ভেসে আসছে সিগারেট আর কফির গন্ধ ।
আবৃত ডানার মতো অস্পষ্ট হয়ে যাওয়া নিজেকে হাওয়ার চাদরে মুড়ে প্রার্থনায় ‘তথাস্তু’ বলছি।
পলাতক প্রেমিকের উল বুননের সোয়েটার স্মৃতিতে কুয়াশার ভিতর এক লম্বা করিডোর
কফির বীজ চামচে করে ঘ্রাণ নিই আর হারানো দিনে যেখানে যাওয়ার কথা আমাদের সেই পুরনো শরীরে
হারিয়ে ফেলি সাবেক কালের সব চাবি। কেমন ঝুপ্ করে আলো নিভে যায় ।
অলকানন্দা প্রজাপতির পিছু
কত শূন্য চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছি!
কতদিন দেখা হয় না।
যে সন্ধ্যাগুলি তোমার সঙ্গে বসে কেটে যেত
সেই সন্ধ্যাগুলি এখন সেই অন্ধকার আর নিবিড় নির্জনতায়
তোমার ছায়ায় বসেছি চুলগুলো খোলা—
ঠোঁটের আবেগ পায়ে পুরোনো ভ্রমণদৃশ্য
আর হৃদয় আমার নিঝুম রাতের মসৃণ খোলসের উপর
ঘষেছে হিম আঙুল—
বেঁচে গেছে সব দুঃখ থেকে।
প্রেমের গল্প ফিসফিস করে বলেছো কানে:
তোমাকেই চাই আমি, হে জীবন
তোমাকেই চাই আমি, হে আমার ভালোবাসা-স্পর্শ
হে প্রেমিক প্রিয়তম, তোমাকেই চাই।
শেষ রাতের চুম্বন
অনেক পাতার নীচে চিত্রনাট্য জুড়ে শীতকাল,
দৃশ্যের শেষে দাঁড়িয়ে জুবুথুবু ডানা আনমনে।
পকেট জুড়ে উষ্ণতা স্মৃতিপাঠ অনুবাদ করে
বাতাসে আঙুল মেখে টুপটাপ লেখে গন্ধলিপি।
ঘ্রাণ নিয়ে আসা রাত ঝলকায় আলাপের রঙে
ইল্যুশনে ঢুকে পড়ে ব্যাকলাইটে রাতের বাস
ডাইমেনশন ভেঙে ঢুকে পড়ে অচেনা বিলাপ
নুড়িপাথর জীবন কারে চাও অপেক্ষা বাড়িয়ে?
অলংকরণঃ তাইফ আদনান