জলধি / কবিতা / রানা জামানের তিনটি কবিতা
Share:
রানা জামানের তিনটি কবিতা
দ্বিপ্রহর


দ্বিপ্রহর পরাজিত করতে ছায়াভূত
বাড়তে থেকে হতে থাকে ক্লান্ত
রোদ্দুরের ভাটি উত্তাপ ছড়িয়ে
দিনান্তের দিকে যায় রুস্তমের বেশে

থকথকে কাদার শোচনীয় ব্যর্থতায়
বেকার কঠিন কদাকার অবয়ব
উত্তাপের বর্শা জলের বারোটা বাজালে
মাছের শরীর হতে থাকে খামি

অনন্ত চুলোয় জীবকূল ফুটতে থেকে
অখাদ্যের শেষে তামা তামা জীবন!
গাছের কান্নায় উত্তপ্ত জলের চোখ আদ্র
হলেও প্লাসিড তড়পায় ভীষণ অসহায়ত্বে

প্রত্যেহ ব্যায়ামে ছায়ার কায়া কি
বলবান হয়ে টেক্কা দেবে রোদের সকাশে?
ওজন বিহীন এক অবয়ব ছায়াকায়া
স্বস্তির প্রশান্তি দেয় তপ্ত হতে থাকা দেহে

ক্ষণস্থায়ী দ্বিপ্রহর কচ্ছপ গতিতে
বিকেলে মিলিয়ে ধ্রুব করে নেয় নিজকে
বাকিটা সময়ে গড়াগড়ি খেয়ে শক্তি নিয়ে

পরদিন উদ্ভাস হবার নেয় যে প্রস্তুতি।


শিকল


বর্শি না কিনে কিনেছি মাছরাঙা
সোনার ডিম পাবার প্রত্যাশায়

রেখেছি মেঘের রাজপ্রাসাদে
খেতে দেই নবাবের ভোজ

মাছরাঙা কি হয়ে যাচ্ছে অলস?
শিকল ছাড়াই পায়ে জড়তা?
ডানার চাঞ্চল্য কি পাচ্ছে হ্রাস?

অদৃশ্য হলেও শিকল জড়তা।


চঞ্চুহীন চিল


রাতের শরীরে মিশে থাকলে
হায়েনাগুলোকে দেখতে পাই

আলোর হাতিরা অবলীলায়
ভোল পাল্টায় আঁধার গড়ে

চোরাবালিতে চেতনা আটকে
মেরুদণ্ডহীন, তা কি ঠিক?

আমি কি তৃতীয় পক্ষ?
উড়তে থাকা চঞ্চুহীন চিল?



অলংকরণঃ তাইফ আদনান