জলধি
/ কবিতা
/ মোহাম্মদ জাফর সাদেকের তিনটি কবিতা
মোহাম্মদ জাফর সাদেকের তিনটি কবিতা
লোভ
আগুনজ্বলা ভোরের জিভে এক তোলা ঘী
রাত্রির পেটে নিভে যায় সুর্যের কান্না,
শীত রাতে জমে থাকে পাতার শিশির বৃষ্টি
খাপ খোলা চোখ বেয়ে দু'এক ফোটা ঝরে পরে,
হিংসের পেয়ালায় আগুন ধরে যায় মর্তের অমর্ত্য ইচ্ছা;
কাথা মুড়িয়ে সারমেয় পাশে দিই টানা দিনঘুম - নিশ্চিত নির্ভারে,
আমার সমান্তরাল হাঁটে সংসার সমাজের আয়োজন- প্রয়োজন,
আপাতত বুক পকেটে রেখে খুঁজি আমি কবিতার মাস্তল।
মানবিক
ঘাসের গালিচায়, ফুলের মালঞ্চে কাটে অষ্টপ্রহর,
প্রিয় গোধুলির একরত্তি আলোক- রাঙা রঙ চোখের কোণায় ভাসলে,
মনে জাগে যাপনবিহীন জীবনের তৃষ্ণা,
ছলাৎ ছলাৎ করে উঠে নতুন পানি পাওয়া রুপালি মাছের মতো প্রাণোচ্ছল প্রাণ,
রাত্রির নরক ভেঙ্গে প্রাণ হাঁটে স্বর্গের কার্ণিশে।
নিজস্ব যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা শেষের খেলায় একহাতে জীবন তিরিক্ষি'র এপিটাফ,
অন্যহাতে প্রণোচ্ছল প্রাণের আনাগোনা;
পাশে হাতে হাত রেখে কে যেনো বলে উঠে - এই তো প্রাণসঞ্চারী প্রাণ ।
দ্রোহের কফিন
পকেট ভর্তি মৌনতার মিছিল, স্তব্ধতার পায়ে পায়ে সোনার মিনার;
সশব্দ হাঁকডাক লুপ্ত ডায়নোসর, বিরল হরবোলা পাখি
শস্য ফলানোর শব্দটুকু আছে, কৃষকের হল্লা নেই,
চাবি হারিয়ে গেছে মূক ও বধির বিশাল জনসমুদ্রে।
স্বল্পভাষীরা - উচ্চমার্গের সন্তান বশংবদ রাজা-ধীরাজ
রোশনাই মিষ্টি সুরের কন্ঠ-মালিক কালেভদ্রে জন্মে- জন্মতারা
জ্ঞান ভারে অবনত মস্তক যেনো বিনয়ের অবতার- নীরব বুদ্ধিবিক্রেতা
শ্রেষ্ঠ গুণবাচক তকমা গলায় অধিঃকৃত কন্ঠহার- বোবা সুশীল।
পিশাচী নীরবতা মানে সর্বোচ্চ বেগে ঝড় উঠার পূর্ব রাগিণী,
অলংকরণঃ আশিকুর রহমান প্লাবন