পঞ্চরিপু
পঞ্চরিপুর কথা উঠলেই
দুটি শরীরের প্রসঙ্গ চলে আসে
একটি আয়না, অন্যটি নক্ষত্র
ফনা তোলা শরীরে
হাতের মুষ্টি আসলে দুটো পদ্ম
নারীর দেহ একটি খামারবাড়ি
চার হাতে কৃষিক্ষেত্র সামলে চলে
স্তনদুটি পাহাড়
ভেতরে খনিজের অধিক্ষেত্র
পুরুষ খনন চালিয়ে
রত্ন নিয়ে আসে আলোতে
দ্বীপ
আমাদের প্রত্যেকের বুকে দ্বীপ আছে
নোনাজলে আকাশ ভেসে ওঠে
জোয়ারে জাগে জীবনের বীজ
একটা অদৃশ্য ব্যথা
ক্ষত নিয়েও নির্জন আলোতে
অন্ধকার হয়ে বসে থাকে
আমাদের বুকে আবিষ্কৃত সন্ধ্যা
বৃষ্টিতে ভিজে গেলে
স্মৃতিগুলো আত্মহত্যা করে বিচ্ছেদের মৈথুনে
তুমি ও নুন
তোমার আদিমতা
যা আমাকে প্ররোচিত করে
ইন্দ্রিয়ের ভেতর ফলের গন্ধ মেখে নিয়েছো
প্রত্যেক বার চেতনা ফিরে এলে
আমি ত্বকের নিচে নুনের স্বাদ পাই
এতোবার ছুঁয়েও অধরা ত্বক
এ এক লাবণ্যময়ী সূর্য;
জন্মগত জ্বলছে
তোমার অপরূপ হাত
যা তারার কাছে আজও পৌঁছায় নি
তোমার চাইতেও রহস্যময় তোমার শরীর
তোমার মধ্যেই আমার প্রতিমা সৃষ্টি হতে থাকে
আমার হাতের তালুতে নুনের গন্ধ লেগে আছে
অলংকরণঃ তাইফ আদনান