জলধি
/ কবিতা
/ বঙ্কিমকুমার বর্মনের তিনটি কবিতা
বঙ্কিমকুমার বর্মনের তিনটি কবিতা
ঈশ্বরীয় বাগান
একটা দুঃখের ভেতর কতগুলো মেয়ে ফুটে আছে
অচল হয়ে আসে বাতাসের কান
মেয়েরা বড়ো হচ্ছে শুষ্ক মৌসুমে
তাদের স্নানের দৃশ্যকাল নিয়ে উড়ে যায় কাক পক্ষী চিল
হলুদ খসড়া
হতাশার বুক চিতিয়ে খোঁজে রৌদ্রসুখ
আশ্রয়ের ছায়ায় নিজস্ব দায়ভার গুছিয়ে
টলমল পায়ে হাঁটছে ক্ষুধিত মাঠের শরীর
রক্তফুলের পরিশ্রম কাঁধে নিয়ে
আলুথালু স্বপ্নের বাগান চোখে কেঁপে কেঁপে ওঠে
বিকলাঙ্গ হাসিটুকু শুধু মায়াময় মেঘের কোলে
সুপারিশ
অচল হয়ে আসে বাতাসের কান
মেয়েরা বড়ো হচ্ছে শুষ্ক মৌসুমে
তাদের স্নানের দৃশ্যকাল নিয়ে উড়ে যায় কাক পক্ষী চিল
কতগুলো আলোর বীজ পুঁতে জীবনখণ্ডে
বেড়ে উঠছে ভরসার আকাশ
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনি ক্ষুধার্ত জ্যোৎস্নার কান্না
দমবন্ধ জোনাকির অন্তর্দহন কুড়িয়ে রাখে আঁচলে
দরজায় টোকা দেয় পুবের সূর্যবেলা
দূর্বাঘাসের স্বীকারোক্তি নিয়ে ধুলিপথ
নিজ হাতে সাজিয়ে তুলছে অ-ব্যর্থ ঈশ্বরীয় বাগান ।
হলুদ খসড়া
ধানজমির ফাটলে ফাটলে জমে আছে সানাইয়ের ব্যর্থতম সুর
ব্যর্থতার গভীরতা নিয়ে কে যেন গান ধরেছে
হতাশার বুক চিতিয়ে খোঁজে রৌদ্রসুখ
আশ্রয়ের ছায়ায় নিজস্ব দায়ভার গুছিয়ে
টলমল পায়ে হাঁটছে ক্ষুধিত মাঠের শরীর
রক্তফুলের পরিশ্রম কাঁধে নিয়ে
আলুথালু স্বপ্নের বাগান চোখে কেঁপে কেঁপে ওঠে
বিকলাঙ্গ হাসিটুকু শুধু মায়াময় মেঘের কোলে
জলবিন্দুর নাস্তিকতা রশ্মিটুকু
বারে বারে ডুব দেয় গৃহবাসী সমীকরণে ।
সুপারিশ
আত্মীয়তা চোখ তুলে প্রশ্ন করছ কে বাজায় বাঁশি
সে তো নয় ততখানি বৈষ্ণব পদাবলি
সব শূন্যতার উজ্জ্বলতা উদযাপনে বেড়ে উঠে রোজ
পুনরায় জেগে ওঠা অন্ধকারের ভিতর মরুভূমি
এখন গাইছে গান সব নদীর তৃষ্ণা সাজিয়ে
নিরুদ্দেশে ফাগুন উড়িয়ে চলেছে দেবদূত
কচি কচি ঘাসের ইস্তেহার
দু'ফোঁটা অশ্রুজলের সুপারিশ হয়ে ।
অলংকরণঃ তাইফ আদনান