জলধি / কবিতা / নীলাব্জ চক্রবর্তীর পাঁচটি কবিতা
Share:
নীলাব্জ চক্রবর্তীর পাঁচটি কবিতা
বছর
 
ফ্রেম একটা দিগন্ত হয়

এই কাঁচ অবধি

বর্ণমালা অবধি

কেমন ফ্লেক্সিবল হয়ে ডিসেম্বর

জ্বলছে

রীল বাই রীল

কাট করছে

একটা অরাজনৈতিক মিছিল

স্মৃতি অর্থে

একটা সুগার-কোটেড গাছ

ভাষা হয়ে

ধীরে

রাস্তা পার হচ্ছে

বছরের শেষ কবিতা হাতে হাতে নিয়ে...


নিউটাউন

 

জামার ভেতর বসে আছি এই

কাঁচের ভেতর স্বাদ বদল হচ্ছে

বাদামী রুটিতে

একটা নির্মীয়মাণ সময়

বহুতলের ওপর থেকে

চোখ করছে বারবার

পোস্ট-টেনসনড তারের ধাতু পর্যন্ত

ছড়িয়ে পড়া এই ফ্লো-নেট ডায়াগ্রাম

শীত অর্থে

এক বাদামী গোলাপী বৃন্তে দুই স্মাইলি

ওভারল্যাপ করবে

একটা ইনবক্স

দুটো আলাদা আলাদা তবু একই শহর

কেন্দ্রে এসে মুচড়ে

প্রকৃত সরল কয়েকটি রেখা ও রঙ নিয়ে যে আঙুল

নাভি পর্যন্ত কেমন ব্লাশ করছে এখন

অথচ সমকাল কখনওই একটা আয়নায় নাম নয়...


অফিসপাড়ায় দুপুর ছাপা হচ্ছে

 

পুরনো অফিসপাড়ায়

দুপুর ছাপা হচ্ছে বলে

কাঁচরঙের একটা খোঁজ কেমন স্পষ্ট

ভাঙা দৃশ্যের ভেতর পোশাক

খুলে রাখছে

পোশাক পরে নিচ্ছে

সাদাকালো

অন্যদের কবিতার ভেতর দিয়ে হেঁটে আসতে আসতে

বিষাদ

একটি অসমাপিকা ক্রিয়া হচ্ছে

দেওয়ালে দেওয়ালে

দ্রুত বদলে নেওয়া আস্তিন

আকাশ অবধি

এই পিকচার-পারফেক্ট দিন

ক্ষুধা অবধি...


আমি এই সতর্কবার্তার ভেতর

 

বুকের বরফ

কেমন স্থিতিস্থাপক হল চাঁদে চাঁদে

ঠোঁট এক অভ্যাস হয়ে

থেমে থেমে

আমি এই সতর্কবার্তার ভেতর ঢুকে যাচ্ছি

তার ও তাহার অর্থাৎ

তাদের বা তাহাদের

পালক বদলে নেওয়া দেখতে দেখতে

একটা না আরেকটা সিদ্ধান্তের নামে

কিপ রোলিং

পতাকার ভেতর

একটা একটা করে দেখেছি

অনস্ক্রিন সফল রঙ ও স্লো মোশান

অথচ

একটা তামা-রঙের প্রতিজ্ঞা

গলে যাবে কি যাবে না...


শ্লীল

 

রোদ পর্যন্ত এই বর্ণমালা খিদে পর্যন্ত

ভাঙছে

শান্ত

সূর্য সেন স্ট্রিট

এলোমেলো

ভালবাসি বলতে বলতে

হে আমার জাদুকর

বরফের এই কালচে ছায়ায়

কেমন ভাষা হল

কবেকার

একটা দুটো শ্লীল অভ্যাস

তোমার জন্য

এই আস্তিন হয়ে

আবার নেমে এল কাগজের ওপর...



অলংকরণঃ তাইফ আদনান