ছন্দের স্পন্দন
শাড়ির আঁচল ওড়ে, বেপরোয়া ছন্দের স্পন্দন
বিষাদে প্রস্তুত ঘূর্ণি গুপ্তধন চোখের শহরে
পলির নজর ঘাটে অগ্নিশিখা পিপাসার জল
গুপ্তথাবা বুকফাটে দ্রোহের পকেটে কান্না ঝরে।
ভয়াবহ স্বপ্নলিপি সূর্যদেশে বিষের আকার
বৃক্ষমাটি শূন্যতলা পুরানা আখ্যানে পথে হাঁটে
বাঘের সম্মুখে ঘোরে টান মেরে পরাণ উড়াল
ক্ষুধার আগুনে মানচিত্র পূর্ণিমার জোয়ারে মাতাল।
আবার উঠেছে ঝড় শীতের মৌসুমে তীব্র ঢেউ
জলোচ্ছ্বাস-মহামারি চোরাগুপ্তা আগামী সংকেত
তারাদের জপমালা ইতিবৃত্তে সূর্যের সন্তান
কচ্ছপ-খরগোশের দৌড়ঝাঁপ, তৃতীয় নয়ন।
বিনাশী দাসত্ব
সার্কাসে ঘোড়ার দৌঁড়, ওজনে চলে না পা
ছন্দের হোঁচট খেয়ে নতজানু জলের সুরভি
রাতের খাঁচায় ওম, ডিম পাড়ে তরল আকার
কুসুম শূন্যতা দেহ, মলাট সেলাই গন্ধে ধুম।
শব্দের মাঠে শহরে, অস্তগামী আপেল-বিকেল
আত্মলিপি খুলে দেখে হতাশায় সূর্যের আঁধার
হাতিরঝিলে বিতাড়িত, গ্রামের পাড়ায় উঁকি মারে
লেজেগোবরে ছুটছে, চারিদিকে বিনাশী দাসত্ব।
ব্যর্থঘোড়া ঝাউভিড়ে দল-দাস মাইক গুজরে
বাহুজোরে দিচ্ছো ডাক, বামে-ডানে কে যেন রাখছে নজর
পিঁপড়ার শিষদাঁতে ঘুমহীন উন্মুক্ত বিলাপ
পরিযায়ী পাখিগুলো অরণ্যে-আকাশে উড়ে...।
সুন্দর উড়াল
দ্বীপের উত্তরে পাড়ে, রোদের মিছিলে যেতে হবে
শেকড়ে নজরে দেখি, স্মৃতিগুলো নিভৃত-রোদন
চেনা মুখ মেঘে ঢাকা চোখাচোখি মুখের মুখোশ
খাদ্যগুাদামে আগুন! সামনে আসেনি মুখ খুলে।
পোড়া ঢেউ মারে-টান, মধ্যভোজ বোনের শৈল্পিক
দৃশ্যদুপুর আরামে মাটিঘরে, শান্তির নূপুর
ছায়াখেলা প্রকৃতির মনোঘরে কাব্যিক স্বরূপ
কুহেলিয়া নদী কাঁদে! শকুনের ধারালো পলক।
পাখির পাঠশালায়, নিয়োজিত শব্দের শিক্ষক
সুরের একতা-জালে, মুখরিত দ্রোহের মানব
তলে-তলে সিঁধকাটে, রক্ত চোষে কয়লা বিলাপ!
কিশোর-কিশোরীশূন্য! সুন্দর উড়াল, কবি একা।
অলংকরণঃ আশিকুর রহমান প্লাবন