হিমের চেয়ার
দ্বিতীয় পেয়ালা চায়ে জমে যায় সময়ের সর
দ্বিতীয় চেয়ারখানা
সারা সন্ধ্যা খালি রয়ে গেলে
রাত্রির মধ্যযামে সেইখানে
হিম এসে বসে
বৃষ্টির দুপুর শেষে
আশীর্ষ আবৃত করে রাখে গাঢ় কুয়াসার জল
বুকের পাথরগুলি আভঙ্গ জড়ায় ক্ষিপ্রনদী
খুব আস্তে আস্তে মুঠো খুলে দিলে দেখি আজকাল
ভেসে যায় সমস্ত আঙুল
সচ্ছল স্রোতের মুখে যেরকম ভেসে যায় শ্যাওলার দল
কবে যেন হাতে ছিল
একটি কাঞ্চনফুল, এককুচি সবুজ বরফ
জল বেয়ে জল বেয়ে বেয়ে
তারা উজানে গিয়েছে নাকি
ছায়াভরা আমলকি বন
যেইখানে মাটি থেকে সময়ে প্রবিষ্ট হয়
নিয়ে যায় কিশোরকালের লাল জামা
বৃষ্টির দুপুর শেষে ফ্রেম বন্ধ হয়ে গেলে,
যে নিতান্তই আমার, তাকে আর দেখতেও পাই না
জলের শিকড়
মাটির অনেক নিচে নেমে গেছে
জলের শিকড়
সেই ভয়ে মেঝে থেকে জেগে ওঠে
পদ্মের করুণ লতাখানি
সমস্ত রাত্রিবন পার হয়ে
নিজেকে সে নিয়ে চলে কুয়াশার দিকে
মাধুরীর সম্প্রপাত খুঁজতে সে
নীল বনান্তরে যায়
একা একা খালিপায়ে।
অলংকরণঃ তাইফ আদনান