বংশী নদী
শহরের বহু বণিক নদী ইতিহাস বুঝে না
অংকে জাহাজ বটে
এখন জলের দাম দুধের দরে সুদের হারে যাচ্ছে
বণিক কেবল নিজের জন্য ভূমি নিয়ে ভাবছে
ও বন্ধু আমার বংশী নদী তোমায় নিয়ে ভাবছি
কোথায় তোমার গহীন জল কে নিলো কেড়ে
দেখছি তোমার কোমলপ্রাণ নীতিবাদী দল
তোমাকে দেখার নেই কেউ নেই- হায় আফসোস
আজ জল ও সুরের গল্প আমরা করতেই পারি
উইকিপিডিয়া পড়ি ড্রয়িং ক্লাস করি- তুমি
ওগো ঘুমিয়ে পড়ো কোমল মাটি- অসুর দেবতাগণ
আমি না হয় জেগে থাকি ঠাঁই পারাপারের অপেক্ষায়
ফানুস উৎসব থেকে বলছি
শাদা কালো ফ্রেমে আমরা পাতাদের গান করি
দেখি শৈশবের দৈত্যদের বেভুল অসতর্ক প্রেম
দেখছি তুই তুমি আপনি সময় সতর্কে কৌশল
ভাবছি পাখাঝাপটায় সম্পর্ক কতোটা অসহায়
দেখছি সোনালী ফুল রোদ বৃষ্টি হচ্ছে অনবরত
দেখি শরীরের আড়মোড়া ভাঙন গতিবিধি স্বর
শুনছি হাওয়াদের কামছলা অতীত কথার গল্পে
অতঃপর তাহারা সুখে-শান্তিতে
সহবাস বসবাস চাষবাস করছেন
প্রাগৈতিহাসিক সময় ধরে
এখন
দেখি এইসব মৃত ফানুস উৎসব অনুষ্ঠান
অভ্যন্তরীন প্রেম
মাছের কাঁটায় তখন বিড়ালের ঠোঁটে চোট
কোলাহলে মেতে পাতিহাঁসের ছানা- পোনা
সদর উঠোন জুড়ে হাসে সোনালী রোদেরা
ভাব করে হেঁটে যায় কোমল ভেষজ শরীর
টেরাচোখ ফেরানোটা বড় দায় হয়ে পড়ছে
আর
বারান্দায় বসে এক কোকিল বসন্তের ভোর
কামভাব ছলাকলায় পিনিক উঠায় জিহ্বায়
অথচ
উষ্ণ বৌ এর গায়ের গন্ধে মাতোয়ারা দুপুর
এই-সব প্রেমে পোয়াতি হয় বিকেলের গান
সু সন্ধ্যা লজ্জায় মুখ লুকায় প্রতিবেশী ঢেরায়
এখন নিবোর্ধ রাত সুরা পান করে পাহাড়ে উঠে
অলংকরণঃ তাইফ আদনান