জলধি / কবিতা / চন্দনকৃষ্ণ পালের তিনটি কবিতা
Share:
চন্দনকৃষ্ণ পালের তিনটি কবিতা
সময়ের কোলাজ

 

কলধ্বনি কখনো বা ব্রহ্মনাদ হয়ে বাজে কর্ণকুহরে

কখনো বা রাগ চন্দ্রকোষ,

মেরু বেহাগ কিংবা

প্রভাত ভৈরবী।

 

গভীর অন্ধকারে আকাশে রাখলে চোখ

পৃথিবীর অস্তিত্ব থাকে না

থাকে না মানববন্ধন, ভালোবাসা

নিজেকে মনে হয় জন্মের অনুক্ষণে প্রথম এ্যামিবা।

 

সময়ে মানুষ পাল্টায়, পাল্টায় পৃথিবী।


শোক লিপি

 

বাজে মেঘ মাদল বাজে আর

মহুয়া ছন্দে নাচে নওল কিশোরী

উড়ে ঘুড়ি, মেঘ ঘুড়ি উড়ে

গাছ গাছালীর সাথে নাচে শ্বেতপরী।

 

সমুদ্র সৈকত জুড়ে জল ঢেউ

মাথা খুঁড়ে দিন-রাতভর

ঝাউ বনে হাওয়ার দাপট

দূর জলে একা জাগে চর।

 

সন্ধ্যার অন্ধকারে একা জমে শোক

বিপুল বিস্ময়ে কাঁদে আনন্দলোক।


নিরব ইচ্ছাধ্বনি

 

এভাবে তাকালে,

পুর্নিমার রাতে নামে অকারণ ভোর

পূর্ণ চাঁদ ঢেকে ফেলে কালো হস্তীযুথ

ভাটাতে চলে যায় নদী বলেশ্বর

শূন্য খালে খোলা জলচিহ্ন পড়ে থাকে।

 

এভাবে তাকালে,

আকাশেতে জমে থাকা মেঘের পাহাড়

দ্রুতপদে ধেয়ে নামে গাঢ় অন্ধকার

ঘুঘুর দুপুরে নামে রাত্রি নিরবতা।

 

এভাবে তাকালে,

তিনশ পঁচিশ রাত্রি নির্ঘুম চোখে জমে ক্লান্তির মেঘ

বুকের সমুদ্রে ওঠে উত্তাল ঢেউ

ডুবে যায় অজস্র সমুদ্র সাম্পান

মৃত সি-গালের জন্যে বাতাসের শোক।

 

অর্পিতা,

এভাবে আর কখনো তাকাবেনা তুমি



অলংকরণঃ তাইফ আদনান