জলধি / কবিতা / করবী মুখোপাধ্যায়ের তিনটি কবিতা
Share:
করবী মুখোপাধ্যায়ের তিনটি কবিতা
তিথি উদযাপন                         

কিছু এপিটাফ আজও কোলাহল করে।

বারুদ ফুরিয়ে গেছে ।
নাটকের শেষ অঙ্ক,
কুশী লব রা ক্লান্ত,
তিথি উদযাপনে 
নরকঙ্কাল দাঁড়িয়ে-
দুই হাতে দুই বাদ্য যন্ত্র
ক্ষমতা আর আধিপত্য
ক্লাইম্যাক্স এ পৌঁছতে ঢের দেরী ।
বারবার নেমে আসে অন্ধকারের ঢেউ
সহজ সত্যিটা বলে না কেউ।
শুরুতেই ছিল কিছু ভুল
তাই এখন যেদিকে চাও সকলেই
নাটকের সাজানো পুতুল ।
চোখ কচলে দেখি চোখই অদৃশ্য
নর কঙ্কালের তিথি উদযাপন দৃশ্য ।

সময়ের স্মারক
কুয়াশা বিছিয়েছে জাল
শীত অছিলায়,
গদ্যময় জীবনের পদ্য লেখা কবি এক
খোঁজে অভিপ্রায়।
পাতা ঝরানোর কাজে ব্যস্ত বৃক্ষেরা
এখন ক্লান্ত,আভরণহীন উলঙ্গ ।
কবি ও প্রাবন্ধিক প্রস্তুত
শীতের মেলায়
নতুন করে জন্ম নেবে বলে।
গলায় উত্তরীয়,হাতে স্মারক
একে একে নেমে আসছেন ওরা
নক্ষত্র পরিষেবা সম ।
ওদিকে নিয়মমাফিক তাপপ্রবাহের খেলায়
আকাশের নীলে জমে দুঃস্থ অন্ধকার ,
সেখানে লেগে থাকে সময়ের সুস্পষ্ট ছাপ ।।

হেমলক পান
ছুটছে সকলেই ছুটছে
টাকার পিছনে
খ্যাতির পিছনে
সুন্দরী নারীর পিছনে।
সবাই ভাবে এটাই স্বাভাবিক ।
কিন্তু পথচলতি আমি জানি
মানুষের জন্ম অন্ধকার গর্ভগৃহে,
সেই আর্তনাদজাত
আমি মহাকাশযুগের ওপারে নিশ্চুপ বসে আছি ।
আমি আদিগঙ্গার গোড়ালি ডোবা জলে দাঁড়িয়ে
 টাকা মাটি-মাটি টাকা বলে শপথ করেছি।
আমি সুন্দরী নারীদের লালপাড় শাড়ী তে ঢেকে
মা বলে আহ্লাদ জানিয়েছি।
আমি সক্রেটিসের জীবন হাতড়ে দেখেছি
খ্যাতির বিড়ম্বনার অন্য নাম হেমলক ।।


অলংকরণঃ আশিকুর রহমান প্লাবন